ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
পচেফস্ট্রুম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকার চেয়ে ৩৬৯ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৭ রান। মুমিনুল ২৮ আর তামিম ২২ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে চা বিরতীর পর ৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সাউথ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় দিনের চা বিরতী পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার স্কোর ৩ উইকেটে ৪৯৬। ফাফ দু প্লেসি, বাভুমা, ডি ককরা রানটাকে নিয়ে যেতে পারতেন ছয়শোর ওপরে। কিন্তু, টি ব্রেকের পরই টাইগারদের চমকে দিয়ে ইনিংস ঘোষণা প্রোটিয়াদের। তড়িঘরি করে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। ফলটাও পেলো আফ্রিকানরা। শেষ সেশনে উইকেট তুলে নিলো তিনটি।
বাংলাদেশের ইনিংসটার গোড়াপত্তন করেন ইমরুল-লিটন। ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে কম সময় থাকার খেসারত দিলেন তামিম। নতুন ওপেনিং পেয়ারের অবদান ১৬, কাগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বলে ইমরুলের আত্মসমর্পন।
লিটন খেলছিলেন, দলে থাকার যথার্থটা প্রমান করতে। তবে, টেস্টের টেম্পারমেন্ট ভুলে, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। তার ২৫ রানের ইনিংসটি ২৯ বলের, যেখানে আছে চারটি চার।
তিন আর চারে নামা মুমিনুল-মুশফিকের জুটিই স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো বাংলাদেশকে। পঞ্চাশ পেরোনো জুটিতে দুজনেই অনায়েসে খেলছিলেন। তবু ফিফটি থেকে ৬ রান দূরে মুশফিকের ফিরে যাওয়াই দিনশেষে যত আক্ষেপ বাংলাদেশের। পাঁচে নেমে তামিম অবশ্য দিনের বাকি সময়টা দেখেশুনেই পার করে দেন।
এর আগে, দিনের প্রথম সেশনেও টাইগার বোলারদের হতাশায় ফেলে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। ক্যারিয়ারে ২৭ তম সেঞ্চুরি তুলে আমলা থামেন ১৩৭ রানে। দিনের প্রথম উইকেটটা শফিউলের। গেলো দিনে সেঞ্চুরি পাওয়া ডিন এলগার এগুচ্ছিলেন ডাবলের পথেই। তবে মাত্র ১ রানের আক্ষেপে ১৯৯ রানে মুস্তাফিজের বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তবে তার আগে যেভাবে ব্যাটিং করে গেছেনে, তৃতীয় দিনে টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য সেটাই হবে অনুকরনীয়।